প্রত্যয় ডেস্ক: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ খুচরা পোশাক বিক্রেতা কোম্পানি সুইডেনের এইচ অ্যান্ড এম জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে ২৫০টি স্টোর বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। আগামী বছর থেকে তা কার্যকর হবে। করোনায় অনেক ক্রেতা অনলাইন কেনাকাটায় ঝুকছেন, এমনটা জানানোর পর এবার স্টোর বন্ধের ঘোষণা দিল কোম্পানিটি।
বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে কোম্পানিটি জানিয়েছে যে, সেপ্টেম্বরেও বিক্রি বেড়েছে। তবে ২০১৯ সালের একই মাসের তুলনায় তা ৫ শতাংশ কম। প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে বহুজাতিক এই ফ্যাশন পণ্যের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ হাজারের মতো স্টোর রয়েছে। তবে আগামী বছর কোথায় কোথায় স্টোর বন্ধ করে দেয়া হবে তা অবশ্য জানানো হয়নি। আগস্ট পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফা কমে হয় ২৩৭ কোটি সুইডিশ ক্রোনা। তবে মহামারিতে বিক্রির হ্রাস পেয়ে মুনাফার যে পূর্বাভাস বিশ্লেষকরা দিয়েছিলেন তার তুলনায় অবশ্য বেশি মুনাফা করেছে কোম্পানিটি।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে এখন তাদের ১৬৬টি স্টোর বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জারি স্থানীয় বিধিনিষেধের কারণে অনেক স্টোর বিধিনিষেধ মেনে এখন কয়েক ঘণ্টা খোলা রাখা যাচ্ছে। খুচরা ব্যবসায় সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষক রিচার্ড লিম বিবিসিকে বলেন, ‘মহামারির কারণে গত কয়েক মাসে আমরা ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। অনলাইন কেনাকাটর পরিমাণ উল্লেখ করার মতো বেড়েছে। এটা সব ধরনের শিল্প খাতে প্রভাব ফেললেও বেশি হয়েছে পোশাক ও জুতো-স্যান্ডেলের ক্ষেত্রে।’
অনলাইন বিক্রির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডিজিটাল বিক্রি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে এইচ অ্যান্ড এম। স্টোকহোমভিত্তিক কোম্পানিটি বলছে, করোনভাইরাসটির প্রভাবে পরিচালনা, বিনিয়োগ, ভাড়া, কর্মী ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে পরিবর্তন সংক্রান্ত ‘দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত’ গ্রহণ করেছে তারা।
এইচ অ্যান্ড এম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা হেলমারসন বলেন, ‘যদিও এখনও আমরা সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে পারিনি, তবুও আমরা বিশ্বাস করি যে সবচেয়ে খারাপ সময়টা আমরা পেছনে ফেলে এসেছি এবং আমরা সঙ্কট থেকে আরও শক্তিশালীভাবে বেরিয়ে আসার জন্য একটা ভালো অবস্থানেই রয়েছি।’